ইউনুছ শিকদারঃ মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য নোয়াখালী বাসীর কাছে স্মরণীয় নাম শহীদ অহিদুর রহমান অদুদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা, ছাত্র সমাজের ১১ দফা ও ৬৯ এর গণঅভ্যুঙ্খানে বিশেষ অবদান রাখেন তিনি। ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিয় ছাত্র সংসদের (ঢাকসু) সমাজকল্যাণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি।

আজ তাঁর ৫০ তম আত্মদান দিবস। ১৯৭১ সালের এইদনে (২১ নভেম্বর) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তালমোহাম্মদের হাটে রাজাকার-মিলিশিয়া ক্যাম্প আক্রমণকালে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন তিনি।

রণাঙ্গণে অহিদুর রহমানের সহযোদ্ধারা ২১ নভেম্বর ভোর রাতের দিকে বিএলএফ সদর কমান্ডার অহিদুর রহমান অদুদ ও কোম্পানীগঞ্জ থানা কমান্ডার ওবায়দুল কাদেরের (বর্তমান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী) নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে রাজাকার-মিলিশিয়া ক্যাম্প আক্রমণ করে। এ সময় ক্যাম্পে অবস্থানরত রাজাকার মিলিশিয়া বাহিনীর অনেকে হতাহন হয়, প্রাণভয়ে অনেকে পালিয়ে যায়। গেরিলা যুদ্ধের কৌশল অনুযায়ী ততক্ষণে সূর্য্যরে আলো দেখা দিলে অপরারেশন সমাপ্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় শত্রুপক্ষের ছোঁড়া একটি গুলিতে ঘটনাস্থলে শহীদ হন অহিদুর রহমান।

এ উপলক্ষে শনিবার নোয়াখালী প্রেসক্লাবে শহীদ অহিদুর রহমান অদুদ স্মৃতি সংসদ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। আলোচনা সভায় অদুদের সহযোদ্ধাগণ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন।

বক্তাগণ অভিযোগ করেন, মুক্তিযোদ্ধাগণ জেলা প্রশাসনকে বার বার জানানোর পরও নোয়াখালী শহরে সরকারিভাবে নির্মিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে শহীদ অহিদুর রহমান অদুদের নাম স্থান পায়নি। এ সময় বক্তাগণ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে অহিদুর রহমান অদুদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা সহ তাঁর স্মৃতি রক্ষায় সরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহনের দাবি জানান।