লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে মুসলিমা আক্তার ঝর্না নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী পাশের বাড়ির ওয়াসিম নামে এক যুবকের সাথে সংসার বাঁধলেন।

প্রবাসী স্বামীর ৭ লক্ষ টাকা নিয়ে বেকার যুবকের সাথে ঝর্ণা আক্তার চলে গেলেও তার কাবিনের টাকার জন্য স্বামীর বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর পারিবারিক জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন ঝর্না। তাহলে স্বামীর ৭ লক্ষ টাকার কী হবে এমনটা প্রশ্ন প্রতিবেশীদের মুখে-মুখে।

এদিকে স্বামীও তার সুখের সংসারও ৭ লক্ষ টাকা ফেরত পেত লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

মুসলিমা আক্তার ঝর্না রায়পুর উপজেলার চরবগা গ্রামের খোরশেদ মিঝির মেয়ে ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার টুমচর গ্রামের সৌদিআরব (প্রবাসী) খোরশেদ আলমের স্ত্রী ছিলেন ঝর্না।

বর্তমানে ঝর্না টুমচর গ্রামের আবু ছিদ্দিক মাঝির ছোট ছেলে ওয়াসিমের সাথে সুখের ঠিকানা বাঁধলেনর (প্রবাসী) স্বামীর নগদ ৭ লক্ষ টাকা নিয়ে। ঝর্নার বয়সের চেয়ে তার বর্তমান স্বামী ওয়াসিমের বয়স ১০ বছর কম হবে তার চেয়ে। এনিয়েও টুমচর গ্রামের জনসাধারণ ধিক্কার দিচ্ছে। অনেকে আবার বলেন এ সংসার বেশিদিন ঠিকবে না। 

চলতি বছরের (মার্চ মাসের ১০ তারিখ মঙ্গলবার) দুপুরে ঝর্না আক্তার তার স্বামীর নগদ ৭ লক্ষ টাকা নিয়ে পাশের বাড়ির আবু ছিদ্দিক মাঝির ছোট ছেলে ওয়াসিমের সাথে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। ওইদিন ঝর্নার স্বামী খোরশেদ আলম লক্ষ্মীপুর সদর (মডেল) থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেন। বিভিন্নস্থানে খোঁজখবর নিয়েও ঝর্না ও তার প্রেমিক ওয়াসিমের সন্ধান পায়নি পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা।

পাঁচদিন পর (১৫মার্চ) শনিবার চট্টগ্রাম 'ডবলমুরিং থানায়' প্রবাসী খোরশেদ আলম একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। যার সাধারণ ডায়েরি নং-১২০২/ তারিখ ১৫ মার্চ।

দুইদিন পর পুলিশ মোবাইল টিকিং করে কক্সবাজার থেকে ঝর্না ও ওয়াসিমকে একটি বাসা থেকে আটক করে। সেদিন ঝর্না বলছে ওয়াসিমকে নিয়ে সুখেদুঃখে জীবন কাটবে। তার (প্রবাসী) স্বামী খোরশেদ আলমের কাছ থেকে কোনো কাবিনের টাকা দাবি করবে না এমনটা তথ্য দিলেন ঝর্না পুলিশকে। এবিষয় এ প্রতিবেদকে নিশ্চিত করলেন (প্রবাসী) খোরশেদ আলম।

তবে কিছুদিন না যেতে ঝর্না লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টে পারিবারিক আদালতে কাবিনের টাকার জন্য একটি মামলা দায়ের করেন। এবং তার বর্তমান স্বামী ওয়াসিমও এ টাকার জন্য খোরশেদ আলমকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে।

খোরশেদ আলম নিজের নিরাপত্তা চেয়ে লক্ষ্মীপুর সদর (মডেল) থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন।

লক্ষ্মীপুর সদর (মডেল) থানার ওসি তদন্ত মোসলেহ উদ্দিন বলেন, দুই পক্ষ থেকে লেখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমরা আন্তরিকভাবে দেখতেছি। এছাড়াও চলমান আদালতে একটি সিআর মামলা ও একটি পারিবারিক মামলা রয়েছে। সেখানে আমাদের কিছু করার নেই।